নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রুমখাঁ বাজারের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাট সংস্কারের কাজে চাঁদার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যার মনির মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উখিয়া থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জানা যায়, হিন্দুপাড়ার শ্মশান সংস্কারের কাজে মোটা অংকের টাকা চাদাঁ দাবি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন এতে অধ্যক্ষ শাহআলম তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে বাধা প্রদান করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিনসহ তার দলবল পরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষ শাহা আলমের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
এতে গুরুতর আহত হয় নুরুল আলম (৪৭), সৈয়দ হোসেন( ৪৬), সুরত আলম, (৫৫) নুরুল আলম (৭০) জাগির হোসাইন (৫৫) মোস্তফা শাকিল (২৬), শাহ মোহাম্মদ তারেক আজিজ (২৬), ফরিদ আলম (৪৭), শফিক আলম (২৫) শাহ জালাল মান্না (২৯)। তাৎক্ষণিক বাকীদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন সরকারি বেসরকারি প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নেন। তার এসব চাদাঁবাজি থেকে শ্মশান ও কবরস্থানের কাজে পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের নির্দেশে রফিক মেম্বার তার একটি লাঠিয়াল বাহিনী সৃষ্টি করে এলাকায় এসব চাঁদাবাজি করে থাকে। তার এসব কর্মকান্ড চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
সর্বশেষ আজ শ্মশানে দান করা আমাদের খতিয়ানী জায়গায় উন্নয়নের চলমান কাজে চাঁদা দাবি করলে আমি বাধা প্রদান করাতে রফিক মেম্বারসহ তার সাঙ্গ- পাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমিসহ আমার পরিবারের উপর দা,লাঠি,লোহার রড নিয়ে হামলা চালিয়ে অনেককে গুরতর জখম করেছে। বর্তমানে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যার মধ্যে দু-একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
তিনি আরও জানান, আমি প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার দাবী করছি।
এদিকে আহত মোস্তফা শাকিল জানান, রফিক মেম্বারের দাবিকৃত ২০ হাজার টাকার মধ্যে আজ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য এলাকার এক ব্যাক্তি জিম্মা নিয়েছেন। তার দাবিকৃত চাদাঁর টাকা দিতে দেরি হওয়াতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনার বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-